কাজি শপিং কমপেক্স, ২য় তলা, মেইন রোড, পরশুরাম বাজার , ফেনী।

টাকা জমানোর চমৎকার কিছু কৌশল


প্রতিদিনের খুচরা টাকাগুলো জমিয়ে রাখতে পারলেই মাস শেষে বড় একটা অংকের টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি। স্বল্প আয়, তবুও সেখান থেকে কত টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছেন আপনি! হিসেবের খাতায় যদি শুধু শূন্যের অবস্থা বিরাজ করে তবে ঠিক এই মুহূর্ত থেকেই সচেতন হতে হবে আপনাকে।
কারণ শুধুমাত্র আয় করাই যথেষ্ট নয়, আপনার ব্যয়ের হিসেবটাও ঠিক রাখতে হবে এবং সাথে সঞ্চয়ের ঝুলিও করতে হবে ভারী। টাকা জমানোর বা সঞ্চয় করার তেমন অভিজ্ঞতা নেই বলে হিমশিম খাচ্ছেন এই ভেবে যে, কীভাবে টাকা জমানো শুরু করবেন?
কোন চিন্তাই নেই! খুবই সহজ কিছু উপায় মেনে চলতে পারলে এবং বাজেট করতে শিখে গেলে টাকা জমানো কোন কঠিন ব্যাপার নয়।
জেনে নিন টাকা জমানোর খুবই চমৎকার এবং অসাধারণ কয়েকটি উপায়।
১/ নিজের ব্যয়ের একটি বাজেট তৈরি করুন: কীভাবে আপনার ব্যয়ের বাজেট তৈরি করবেন বলে ভাবছেন? যে মাস থেকে বাজেট শুরু করতে চাচ্ছেন সে মাসের শুরুতেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার রিসিটটি রেখে দিন। শুধু প্রথম দিনেরটাই নয়, পুরো মাসেরটা এইভাবে একসাথে জমিয়ে ফেলুন।
রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, জামা কিনতে গেলে, দরকারি জিনিস কিনতে গেলে- সব জায়গার রিসিট জমিয়ে রেখে মাস শেষে সেগুলো নিয়ে বসুন। এরপর আপনি নিজেই পরিষ্কারভাবে বুঝতে এবং মেলাতে পারবেন আপনার টাকা কোন খাতে কম বা বেশি খরচ হচ্ছে। সেই হিসাব করে পরের মাসের জন্য বাজেট ঠিক করে ফেলুন।
২/ আলাদা খামে খরচের টাকা গুছিয়ে রাখুন: আপনার খরচের হাত খুব যদি বেশী হয় তবে সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কাজে দেবে। প্রতি মাসের শুরুতেই আলাদা খামে খরচ করার জন্যে টাকা গুছিয়ে তুলে রাখুন।
প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন খাতের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খামে টাকা রাখুন, যেমন- দরকারি জিনিসপত্র কেনার জন্য আলাদা খাম, নিজের প্রিয় কিছু কেনার জন্য আলাদা খাম, বই কেনার জন্য আলাদা খাম! কোন খামের টাকা শেষ হয়ে গেলে সেই মাসের জন্য সেটাই আপনার বাজেট। এর বাইরে আর আপনি খরচ করতে পারবেন না।
৩/ টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো পরিকল্পনা করুন: টাকা জমানোর অভ্যাসটা খুব ছোটখাটো ভাবে শুরু করতে পারেন আপনি। মাসের প্রথমেই আপনার আয়ের একটা ছোট অংশ আলাদা করে রাখুন জমানোর জন্যে।
এরপর প্রতিদিনের খরচ থেকে পঞ্চাশ-একশ-দুইশ টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করুন এবং একটা পুরো সপ্তাহ শেষে কত টাকা বাঁচল সেটার হিসেব রাখুন। সেটার উপর ভিত্তি করে পরবর্তি সপ্তাহের জন্য টাকা বাঁচানোর পরিকল্পনা করুন।
৪/ বোনাসের সম্পূর্ণ টাকা খরচ করবেন না: প্রতিটা অফিসেই বিভিন্ন উপলক্ষ্য এবং পারফর্মেন্স-এর উপরে বোনাস দিয়ে থাকে। বোনাস এর টাকা হাতে পেয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই খুশি হয়ে সকল টাকা একবারেই খরচ করে ফেলবেন না। বোনাসের কিছু টাকা আলাদা করে জমানোর জন্যে রেখে দিন। ভবিষ্যৎ এ কাজে আসবে।
৫/ খুচরা টাকাগুলো আলাদা করে রাখুন: বিকেলে বাইরে বের হলেই চা, কেক বিস্কুট কিংবা পুরি খেয়ে টাকা দেওয়ার পরেই একগাদা খুচরা টাকা হাতে চলে আসে। বাসে কিংবা রিকশাতে যাতায়াতের সময়েও এমন বহু খুচরা টাকা জমে যায় হাতে।

ধন্যবাদ 

সভাপতি 

পরিবর্তন ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড 

প্রকাশক

সদস্য লগইন

সর্বশেষ আর্টিকেল